Friday, June 14, 2019

পছন্দের চাকরি না পেয়ে হতাশ? ক্যারিয়ার ডেভলপের জন্য করুন এই কাজগুলো!


পড়াশোনা শেষ করে সবারই চিন্তা থাকে চাকুরিক্ষেত্রে প্রবেশ করার। নানারকম প্রতিষ্ঠান, নানারকম শিক্ষার বিভাগ। আর তাই সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়ে সবার চিন্তা ভাবনার অনেকটা জুড়ে থাকে নিজের পড়াশোনার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো চাকুরি খুঁজে নেওয়া। এমন কোনো চাকুরি পাচ্ছেন না? হতাশ লাগছে? হতাশায় ডুবে না গিয়ে এক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্টের কিছু নতুন কিছু কৌশলকে। হতেই পারে যে, আপনি নিজের পছন্দমতো বা ঠিক যেমনটা ভেবেছিলেন তেমন কোনো কাজ পাচ্ছেন না। তবে এক্ষেত্রে বসে না থেকে পেশাগতভাবে চাকুরির বাজারে নিজের মূল্যকে আরো একটু বাড়িয়ে তুলতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন আপনি। চলুন, দেখে নেওয়া যাক, ক্যারিয়ার ডেভলপ করার জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন এমন সম্ভাব্য কিছু পদ্ধতিকে।

১। প্রযুক্তিখাতে দক্ষতা বাড়ানো
আপনি হয়তো খুব চিরাচরিত নিয়মের কথা ভেবেই নিজের কাজ খোঁজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবে বর্তমানে শুধু পড়াশোনায় ভালো হলেই হয় না, একইসাথে প্রযুক্তিখাতে দক্ষ হয়ে ওঠারও প্রয়োজন থাকে। ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে, কম্পিউটার প্রোগ্রামার বা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়েও চাকুরির বাজারে অনেক বেশি সুবিধা করে নিতে পারেন আপনি। আর তাই, বসে না থেকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার আগে এই অল্প সময়ে নিজেকে প্রযুক্তির নতুন নতুন পদ্ধতির সাথে পরিচিত করুন।

২। ফ্রিল্যান্স কাজ করা
বর্তমানে ইন্টারনেটের কারণে কাজ শুধু ঘরের বাইরে নয়, ঘরে বসেও করা সম্ভব হচ্ছে। আপনি কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের আগে কিছু ফ্রিল্যান্স কাজ করে নিতে পারেন। প্রচুর মানুষ অনলাইনে চাকুরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই কাজগুলো আরো ভালো করে করতে আপওয়ার্ক, ফিভার ইত্যাদিতে কাজ করতে পারেন।


৩। ক্যারিয়ার ডেভলপিং সংক্রান্ত বই পড়া
ক্যারিয়ার ডেভলপিং নিয়ে অনেক বই আছে। সেগুলো পড়ে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে পারেন আপনি। নতুন ভাষা শেখা, নতুন কিছু চেষ্টা করা, নতুন ধারণা পাওয়া- এই সবকিছু পেতেই আপনাকে সাহায্য করবে ক্যারিয়ার ডেভলপিং-এর এই বইগুলো। এমন ভালো কিছু বই ঘরে বসেই পেতে আপনি রকমারিতে অর্ডার দিতে পারেন। একদিকে যেমন আছে এরিক রাইসের ‘দ্য লীন স্টার্টআপ’, আসওয়ানি রাইয়ের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এন্ড কাউন্সিলিং’, প্রিয়াঙ্কা গুপ্তের ‘গ্রুপ ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং’, কেভিন ডি জনসনের ‘দ্য এ অন্টারপ্রেনার মাইন্ড’, জেফ কেল্লারের ‘অ্যাটিচিউড ইজ এভরিথিং’, জেমস অ্যালেনের ‘অ্যাজ ইউ থিংক’ ইত্যাদি ইংরেজি বই, তেমনি আছে এ এইচ এম আমিনুল ইসলামের ‘আইটি ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজ’এর মতো বাংলা বইও। বেছে নিন আপনার পছন্দের বইটি। 

৪। সফলদের সম্পর্কে জানা
সফল মানুষ হতে কে না চায়? তবে আজ যারা সফল, তারা হয়তো একটা সময় অনেক বেশি হতাশ এবং ব্যর্থ মানুষ ছিলেন। নিজেদের জীবনকে নিজের কাছেই বোঝা মনে হয়েছে, অথচ পরবর্তীতে উঠে দাঁড়িয়েছেন এবং সফল হয়েছেন- এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। ইউটিউবে সফলদের কথা শুনুন, বইয়ে সফল মানুষের জীবন সম্পর্কে পড়ুন। হতাশা যদি কিছুটা হলেও আপনাকে আঁকড়ে ধরে থাকে, তাহলে সেটা খুব সহজেই চলে যাবে।

৫। অন্যরকম কিছু ভাবা
সবসময় কেন একই পদ্ধতিতে ভাববেন? আপনি আর সবার মতো চাকুরী খুঁজছেন সেটাতে কোন সমস্যা নেই। তবে, এই মাঝের সময়টুকুতে হতাশা না বাড়িয়ে অন্যকিছু করুন। যদি একেবারে পুঁজি না থাকে তাহলে আপনার প্রতিভাগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করুন। কিংবা এমন কিছু ভাবুন, যেটাতে আপনি কাজ করতে পারবেন, ভাবতে পারবেন এবং একটু একটু করে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন। কে জানে, হয়তো এই ছোট্ট চিন্তাটিই আপনাকে ভিড়ের মধ্য থেকে অন্য কেউ হতে সাহায্য করবে। পরবর্তীতে আপনি হয়তো আর চাকুরী খুঁজবেন না, বরং অন্যদের চাকুরী দেবেন। তবে এই সবকিছুর জন্যই প্রয়োজন নিজের মতো করে ভাবা এবং নিজেকে বিশ্বাস করা।
তাই এখন আর ঘরে বসে সময় নষ্ট করা নয়, নিজের মূল্যবান সময়কে কাজে লাগান আরো ভালোভাবে। আর সবসময়ের মতো এই কাজেও বইয়ের সাহায্য নিতেই পারেন আপনি!


আরও পড়ুন  ক্যারিয়ার ডেভেলপিংঃ জেনে নিন ছোট্ট কিছু কৌশল!

 আরও পড়ুন  Why you should read Islamic novels?

No comments:

Post a Comment