Saturday, June 15, 2019

ক্যারিয়ার ডেভেলপিংঃ জেনে নিন ছোট্ট কিছু কৌশল!


আপনার বয়স কি ত্রিশ পার হয়ে গিয়েছে? আপনি কি এখনও পড়াশোনা করছেন? ইতিমধ্যেই একটা চাকুরী পেয়ে গিয়েছেন? অবস্থান যেটাই হোক না কেন, একজন মানুষের জীবনে শেখার আসলেই কোন শেষ নেই। আপনি যদি চান নিজেকে একটু সামনে এগিয়ে নিয়ে, বাকি সবার চাইতে এগিয়ে থাকতে, তাহলে পেশাগত জীবনের উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কিছু কাজ করে যেতে পারেন আপনি। চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক আপনার ক্যারিয়ারের উন্নয়নে আপনি কি কি কাজ করতে পারেন তার একটি ছোট্ট বিবরণ।

নতুনকে স্বাগত জানান ও লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
নতুন মানেই নেতিবাচক কিছু নয়। তাই আপনার চারপাশে নতুন কি কি ঘটছে সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ রাখুন। যদি মনে হয় যে, আপনার কোন একটি নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, তাহলে নির্দ্বিধায় সেটা করে ফেলুন। অবশ্য, নতুন কিছু শেখা খুব একটা সহজ কাজ নয়। নতুন শিক্ষাটি ভাষা হোক কিংবা অন্যকিছু, একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন আর সেই অনুযায়ী নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যান।

আপনার জীবনকে সাজিয়ে নিন
জীবনকে কোন ছকে বাঁধা কিংবা সাজিয়ে নেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না। তবে, আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার চাহিদা আর ইচ্ছেকে সেখানে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। মনে করুন, আপনি এখন এক্সিকিউটিভ হিসেবে কোথাও কাজ করছেন। আপনার লক্ষ্য থাকতেই পারে যে, আপনি বছরখানিক পর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হবেন। তারপর হয়তো ব্র্যান্ড হেড। এই ছোট ছোট লক্ষ্যগুলোকে ছকে বেঁধে ফেলুন আর সেই পর্যন্ত যেতে হলে আপনাকে কী কী আত্মউন্নয়ন করতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করুন।

বই পড়ুন
বই মানুষকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। আপনি আপনার পেশাগত জীবন নিয়ে যদি দ্বিধায় ভুগে থাকেন, তাহলে সেই দ্বিধা থেকে বেরিয়ে আসতে বইয়ের সাহায্য নিতেই পারেন। এরিক রাইসের ‘দ্য লীন স্টার্টআপ’, আসওয়ানি রাইয়ের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এন্ড কাউন্সিলিং’, প্রিয়াঙ্কা গুপ্তের ‘গ্রুপ ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং’, পিতার থিয়েলের ‘জিরো টু ওয়ান’, জে পাপাসানের ‘দ্য ওয়ান থিং’, কেভিন ডি জনসনের ‘দ্য এ অন্টারপ্রেনার মাইন্ড’, জেফ কেল্লারের ‘অ্যাটিচিউড ইজ এভরিথিং’, এ এইচ এম আমিনুল ইসলামের ‘আইটি ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজ’, জেমস অ্যালেনের ‘অ্যাজ ইউ থিংক’ ইত্যাদি বইগুলো আপনাকে সাহায্য করবে নিজেকে চিনতে, বুঝতে এবং পেশাগত জীবনে উন্নতি করতে। বইগুলো কিনতে চাইতে রকমারিতে এখুনি অর্ডার করুন।




প্রতিষ্ঠানের সবগুলো সুযোগ গ্রহণ করুন
অনেক প্রতিষ্ঠানই তার কর্মীদের দক্ষতার উন্নয়নের জন্য নানারকম প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও, নানারকম প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে তার। এমন কোন সুযোগ থাকলে সেটি হেলায় হারাবেন না। হতেই পারে যে সেটি এখন আপনার কোন কাজে লাগছে না। তবে একটা সময় হয়তো পুরটা মিলিয়ে আপনি দেখতে পাবেন, এই প্রশিক্ষণগুলো নেওয়ার আগে আপনি যতটা দক্ষ ও ভালো কর্মী ছিলেন, তার চাইতে এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছেন।

সিভি ঘষামাজা করুন
শুধু আপনি নিজে দক্ষ হলেই হবে না, আপনার সিভি বা কারিকুলাম ভীতাকেও হতে হবে উন্নত। তাই প্রথম থেকে যে সিভি দিয়ে আপনি কাজ চালিয়ে এসেছিলেন সেটি এবার একটু বদলে নিন। তার বদলে একটু নতুন করে, আরেকটু ভালোভাবে সিভিতে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। একটি ভালো সিভি লেখাকেও দক্ষতার মধ্যেই ফেলা হয়। কারণ, প্রাথমিকভাবে আপনি নন, আপনার সিভিটিই সবার সামনে যাবে। আর হ্যাঁ, অনেকেই এই ব্যাপারটিকে অনেক সহজ কিছু ভাবলেও বাস্তবে একটি অসাধারণ সিভি লেখা কিন্তু মোটেও সহজ কিছু নয়!
জীবন আর পেশাগত জীবন নিয়ে হতাশ? নাকি, অনেক বেশি সন্তুষ্ট? যেটাই হোন না কেন, সবটা আলসেমি ছেড়ে দিয়ে নতুন করে ভাবুন, নতুন নতুন পদ্ধতিতে নিজেকে উন্নত ও দক্ষ করে তুলুন। পরবর্তী জীবনে এই উদ্যোগটির ফলাফল আপনিই পাবেন!

আরও পড়ুন  পছন্দের চাকরি না পেয়ে হতাশ? ক্যারিয়ার ডেভলপের জন্য করুন এই কাজগুলো!

No comments:

Post a Comment